খই
উৎপত্তিস্থল | বাংলাদেশ |
---|---|
প্রধান উপকরণ | ধান ভূট্টা |
খই সাধারণ গ্রামবাংলার অতি জনপ্রিয় একটি খাবার। সাধারণত আপ্যায়ন এর সময় এর ব্যবহার হয়। আস্ত ধান গরম বালুতে ভেজে এটি তৈরি হয়। খোসার ভিতরে গরম চাল প্রথমে বাড়তে পায় না। কিন্তু ছোটখাট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে খোসা ফাটিয়ে চাল শেষপর্যন্ত যখন বাইরে আসে তখন খই(popped rice) বনে গিয়ে তার নিজের গা-ও চৌচির, মুড়ির মত মসৃণ নয়।
যে কোন ধান থেকেই খই করা সম্ভব। তবে বৈচিত্রপূণ্য এই বাংলাদেশে খই এর উপযুক্ত বিশেষ কিছু ধান আছে।
-
ধানের খই
-
গ্রামীণ পদ্ধতিতে ধানের খই ভাজা
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]খই তৈরির জন্য প্রথমে লম্বা বা মোটা জাতের ধান বাছাই করতে হবে। এরপর রোদে শুকিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে, রোদে শুকানোর পর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসলে চুলায় কড়াইতে উত্তপ্ত বালুতে সামান্য পরিমাণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই তৈরি হয়ে যায় খই।
পরিবেশন প্রণালী
[সম্পাদনা]খইকে "লাজ"ও বলা হয়। বাঙালি লোকচারে, যেমন বিবাহ, মাঙ্গলিক ও পূজা-পার্বনে খই নানাভাবে ব্যবহার হয়। খই ভাজার পর ধানের খোসা ছাড়ানোর পর গুড় বা চিনি সহযোগে কিংবা কাঁঠাল দিয়ে পরিবেশন করা হয় ।