ইরানের খেলাধুলা
![](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8f/Azadistadium.jpg/250px-Azadistadium.jpg)
ইরানে প্রথাগত এবং আধুনিকসহ অনেক ধরনের খেলাধুলার অনুশীলন হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭৪ সালে পশ্চিম এশিয়ার প্রথম শহর হিসেবে তেহরান এশিয়ান গেমসের আয়োজক হয়েছিল এবং বর্তমানে বড় বড় আন্তর্জাাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। ইরানের জাতীয় ক্রীড়া হিসাবে স্বতন্ত্রভাবে ফ্রিস্টাইল কুস্তিকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, তবে বর্তমানে ফুটবল ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে, ২০১০ সালে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সরকারের বার্ষিক বাজেট ছিল প্রায় ৮০ মিলিয়ন ডলার বা মাথাপিছু ১ ডলার। [১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
তাদের শারীরিক শক্তি এবং সাহসিকতার জন্য এবং প্রয়োজনে তাদের পরিবার ও স্বদেশকে রক্ষা করায় সমাজ তাদের বিশেষ সম্মাননা প্রদর্শন করে। তাদেরকে সর্বত্রই অনাড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়ে থাকে। ইরানের জনগণ তাদের খেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত হয়ে থাকে এবং তাদের সাহসী কাজের জন্য তাদের প্রশংসিত করে থাকে। তাদের ধর্মীয় শিক্ষা অনুসারে, ইরানে জরাথুস্ট্রবাদীরা প্রার্থনা করার সময় প্রথমে স্বর্গের বাসনা করে থাকে এবং তারপরেই শারীরিক শক্তি ও মানসিক ক্ষমতার প্রার্থনা করে। তারা একটি সুস্থ এবং শক্তিশালী শরীরের বিশ্বাসী।
ঐতিহ্যগত ক্রীড়া[সম্পাদনা]
শরীরচর্চা[সম্পাদনা]
ইরানের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শরীরচর্চা খুবই জনপ্রিয়।জাবেব নবাভি, মোহাম্মদ ফারুক, আলি তাবরিজি, হামিদ মানাফি এবং জোহাইর আল কারবেলাই মত বেশ কয়েকজন ইরানি বংশদ্ভুত পেশাদারি শরীরচর্চাবিদ রয়েছে।
কুস্তি[সম্পাদনা]
ইরানে কুস্তির একটি খুব দীর্ঘ ঐতিহ্য ও ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় সময় কুস্তিকে ইরানের জাতীয় ক্রীড়া হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। ভারজিস এ পাহলাভানি থেকে শুরু করে জুরখানেহ সহ, যার সাথে আধুনিক ফ্রিস্টাইল কুস্তির মিল রয়েছে, অনেক ধরনের লোক কুস্তির শৈলী রয়েছে।
জনপ্রিয় ক্রীড়া[সম্পাদনা]
ফুটবল এসোসিয়েশন[সম্পাদনা]
ফুটবল ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ইরান সর্বমোট চারবার (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬ এবং ২০০৮) ফিফা বিশ্বকাপ ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করে, তিনবার (১৯৬৮, ১৯৭২ এবং ১৯৭৬ (স্ব আয়োজিত) ) এএফসি এশিয়ান কাপ জয় লাভ করে. এবং চার বার (১৯৭৪ (স্ব আয়োজিত), ১৯৯৮ এবং ২০০২) এশিয়ান গেমস-এ স্বর্ণপর্দক জয় লাভ করে। বিশেষ করে গত ১০ বছরে, পার্সিয়ান গাল্ফ প্রো লীগ চালু করার পর, ইরানের ফুটবলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামের পার্সেপোলিস ফুটবল ক্লাব ও এস্তেগলাল তেহরান ফুটবল ক্লাব ইরানের জনপ্রিয় ও সফল ক্লাব। এএফসি পর্যায়ের সর্বোচ্চ ক্লাব ফুটবল লীগ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ এ সাম্প্রতিককালে (২০১৮ ও ২০২০) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পার্সেপোলিস ফুটবল ক্লাব ।
বেশ কয়েকজন ইরানি ফুটবল খেলোয়াড় বর্তমানে ইউরোপের প্রধান প্রধান লীগগুলোতে খেলছে এবং ইরানের অনেক ফুটবল ক্লাব ইউরোপের খেলোয়াড় বা কোচদেরকে তাদের দলের হয়ে খেলার খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে এবং কিনে নিচ্ছে।
![ইরানের খেলাধুলা ইরান-এ অবস্থিত](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/be/Iran_location_map.svg/700px-Iran_location_map.svg.png)
![ইয়াদেগার ই ইমাম স্টেডিয়াম (৬৬,০০০)](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0c/Red_pog.svg/8px-Red_pog.svg.png)
![পারস শীরাজ স্টেডিয়াম (৫০,০০০)](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0c/Red_pog.svg/8px-Red_pog.svg.png)
![আজাদী স্টেডিয়াম(৭৮,০০০)](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0c/Red_pog.svg/8px-Red_pog.svg.png)
![নাঘশ-ই জাহান স্টেডিয়াম (৭৫,০০০)](http://178.128.105.246/cars-http-upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/0c/Red_pog.svg/8px-Red_pog.svg.png)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭।