পাপড়ি বসু
পাপড়ি বসু | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
মাতৃশিক্ষায়তন | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | বেগম রোকেয়া পদক (২০১৯) |
পাপড়ি বসু হলেন একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সমাজকর্মী ও নারী অধিকার কর্মী। তিনি ২০১৯ সালে বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]পাপড়ি বসু ১৯৫৬ সালের ২ মার্চ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম প্রমথ চন্দ্র ধর ও মায়ের নাম মায়া ধর। তিনি অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে একটি পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সামনে অনশনে বসেছিলেন।[১]
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ত্রিপুরা গমন করেন। সেখানে তিনিসহ অন্যরা মিলে একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী গঠন করেন। তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অর্থ আয় করতেন ও সেই অর্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য দিতেন।[১]
পাপিয়া বসুর মামা নীতিশ রায় চৌধুরী আকাশবাণীর সংবাদদাতা ছিলেন।[২] তিনি তার মামাকে খবর সম্পাদনায় সাহায্য করতেন। তিনি সে সময়ে নিবন্ধও লিখেছেন। তার লেখা মানবিকতার প্রশ্নে ইন্দিরাজি শিরোনামের একটি নিবন্ধ আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।[২]
দেশ স্বাধীন হলে পাপড়ি বসু বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭৪ সালে তিনি কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।[২] এরপর, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি সেখান থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা গ্রহণ করেন।[২] এরপর, তিনি কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন ও সমাজের কল্যাজে কাজ শুরু করেন।[২] তিনি ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (পরিবার পরিকল্পনা সমিতি বাংলাদেশ) ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নারী অধিকার নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।
সন্মাননা
[সম্পাদনা]পাপড়ি বসু ২০১৯ সালে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানেত জন্য বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন।[৩][৪][৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "কুমিল্লার বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা পাপড়ি বসু"। ডয়েচে ভেলে। ৪ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "সমাজসেবায় রত নারী মুক্তিযোদ্ধা পাপড়ি বসু"। ডয়েচে ভেলে। ১১ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "5 eminent women to get Begum Rokeya Padak 2019"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "PM distributes Begum Rokeya Padak"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "বেগম রোকেয়া পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"। btv.gov.bd। বাংলাদেশ টেলিভিশন। ৯ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।