বিষয়বস্তুতে চলুন

চিঠি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেমস ক্যাম্পবেলের আঁকা নিউজ ফ্রম মাই ল্যাড (১৮৫৮-১৮৫৯) (ওয়াকার আর্ট গ্যালারি)

চিঠি বা পত্র হলো একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত তথ্যধারক বার্তা। চিঠি দুজন বা দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে; বন্ধু ও আত্মীয়দের আরও ঘনিষ্ট করে, পেশাদারি সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেয়। স্বাক্ষরতা টিকিয়ে রাখতেও একসময় চিঠির অবদান ছিল।[] প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চিঠি আদানপ্রদান করেছে, ইলিয়াডে তার উল্লেখ ছিল।[] হিরোডোটাস এবং থুসিডাইডিসের রচনাবলীতেও তা উল্লেখ করা হয়েছে।[]

চিঠি লেখার ইতিহাস

[সম্পাদনা]
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের প্রতি এডওয়ার্ড টেলার এবং লিও শেলার্ডের লেখা বিখ্যাত আইনস্টাইন চিঠি যেটাতে পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তাব ছিল। পৃষ্ঠা ২ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঐতিহাসিকভাবে, চিঠির প্রচলন ছিল প্রাচীন ভারত, প্রাচীন মিশর, সুমের, প্রাচীন রোম, মিশর এবং চীনে, এবং এই ইন্টারনেটের যুগেও এর চল বর্তমান। সতের ও আঠারো শতকে চিঠি লেখা হতো স্ব-শিক্ষার জন্য। চিঠি ছিল পাঠচর্চা, অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা, বিতর্কমূলক লেখা বা সমমনা অন্যদের সাথে আইডিয়া বিনিময়ের পদ্ধতি। কিছু লোক চিঠিকে মনে করতো কেবল লেখালেখি। আবার অন্যরা মনে করে যোগাযোগের মাধ্যম। বাইবেলের বেশ কয়েকটি পরিচ্ছেদ চিঠিতে লেখা। অযক্তিগত, কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক- সবরকম চিঠিই পরবর্তীকালে ঐতিহাসিকগণ প্রাথমিক উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন। কখনোবা চিঠি এতো শৈল্পিক রূপ পায় যে তা সাহিত্যের একটি বর্গ হয়ে ওঠে, যেমন বাইজেন্টাইনে এপিস্টোলোগ্রাফি বা সাহিত্যের পত্র উপন্যাস[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Blake, Gary; Bly, Robert W. (১৯৯৩)। The Elements of Technical WritingMacmillan Publishers। পৃষ্ঠা 125আইএসবিএন 0020130856 
  2. Homer, Iliad, 6. 167–70.
  3. Ebbeler, J. (২০০৯)। "Tradition, Innovation, and Epistolary Mores"। Rousseau, P.। A Companion to Late Antiquity। Chichester: Wiley-Blackwell। পৃষ্ঠা 270। আইএসবিএন 978-1-4051-1980-1 
  4. "Epistolography" in The Oxford Dictionary of Byzantium, Oxford University Press, New York & Oxford, 1991, p. 718. আইএসবিএন ০১৯৫০৪৬৫২৮

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]